মামুনুর রশীদ মামুন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সৃষ্ট লঘুচাপের কারনে কয়েকদিন ধরে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বৃষ্টি হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় কুড়িগ্রামেও বৃষ্টি হচ্ছে যা আগামী দু’দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস। সর্বশেষ ২০ সেপ্টেম্বর(বুধবার) দুপুর ১২ টার তথ্য অনুযায়ী ভারি বর্ষণ, উজানের ঢল ও ভারতের গজলডোবার সব কয়টি গেট খুলে দেওয়ায় তিস্তার পানি দোয়ানি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে তিস্তা ব্যারাজের সড়কের ’ফ্লাড বাইপাস’ ভেঙে গেছে। ফলে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এবং কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫০ সে.মি নীচে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কাউনিয়া পয়েন্টে ১২ ঘন্টার মধ্যে এই পানি বাড়বে বলে ধারণা করছে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে লালমনিরহাটের মতো কুড়িগ্রামেও অস্থায়ী বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের নির্বাহী কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান,
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সৃষ্ট লঘুচাপের বৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় কুড়িগ্রামে ৩৭ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই বৃষ্টি আগামী শুক্রবার পর্যন্ত চলতে পারে। তারপর আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে পারে। পাশাপাশি চলমান বৃষ্টির প্রভাবে কুড়িগ্রামের দিনের গড় তাপমাত্রা কমে এসেছে। বৃষ্টির প্রভাবে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই উল্লেখ করে তিনি জানান,
উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের তিস্তা নদীতে অস্থায়ী বন্যা(ফ্লাস ফ্লাড) হতে পারে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উজানের ঢলের প্রবাহিত পানি বাধের বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা নাই। চরাঞ্চলের বাসীন্দারা সাময়িক সময়ের জন্য পানিবন্দি হতে পারেন। এই পানি দ্রুত নেমে যাবে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।